পিরিয়ডের সময় টক খেলে ব্লিডিং বাড়ে? আসুন তবে জেনে নেয়া যাক প্রকৃত সত্য। আমাদের দেশে নারীদের মাঝে সবচেয়ে প্রচলিত ধারণাটি হলো- “পিরিয়ডের সময় টক খেলে ব্লিডিং বাড়ে।” কিন্তু আসলেই কি তাই! উত্তরটি যত সহজ ভাবছেন, আসলে ততটা সহজ নয়! বরং সত্যটি হচ্ছে পিরিয়ডের সময় কিছু বিশেষ টক খাবার খেলে রক্তপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে, কিছু খাবারে আবার কোনই সমস্যা হয় না।

সত্যটা হচ্ছে, পিরিয়ডের সময় সাধারণ কোন টক খাবার খেলে রক্তপাত বা ব্যথা বাড়ে না। টক খাবারের সাথে পিরিয়ডের কোন সম্পর্কই নেই। কিন্তু হ্যাঁ, কিছু বিশেষ ধরণের টক খাবার খেলে ব্যথা ও রক্তপাত দুটোই বাড়বে। সেই বিশেষ টক খাবার হচ্ছে লবণ যুক্ত টক খাবার। যেমন ধরুন, আচার। আমাদের দেশে বরই বা অন্য যে কোন টক খাবার খাওয়ার সাথে আমরা লবণ খেয়ে থাকি। এই লবণটাই মূলত ক্ষতির কারণ এবং এর কারণেই ব্লিডিং বাড়ে, টক জাতীয় খাবারের কারণে নয়। অতিরিক্ত লবণ দেয়া, প্রসেসড এবং ক্যানড যে কোন খাবার পিরিয়ডের সময় আপনার জন্য খতিকারন, কারণ এগুলোতে থাকে উচ্চমাত্রার সোডিয়াম যা রক্তপাত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

তাহলে কী খাবেন?

পিরিয়ডের সময় আপনি যে কোন টক ফল খেতে পারেন, তবে অবশ্যই বাড়তি লবণ ছাড়া। টক দইয়ের মত প্রাকৃতিক খাবারও খেতে পারেন অনায়াসেই। তবে আচার বা ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয় এমন কোন টক খাবার খাবেন না। সল্টেড বিস্কিট থেকে শুরু করে চিপস, বাড়তি লবণ দেয়া যে কোন খাবারই এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত ঝাল ও তেল-মশলা দেয়া খাবার এই সময়ে শারীরিক অস্বস্তি বাড়াবে। বদলে বেছে নিন হাই ফাইবার, ও চর্বি ছাড়া হাই প্রোটিন এবং তাজা ফলমূল। আপনি কী পান করছেন, পিরিয়ডের সময় এটা সাধারণের চাইতেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রচুর সাধারণ পানি ও ঘরে তৈরি ফলের রস পান করুন। ফ্যাট ছাড়া দুধও পান করতে পারেন। কোমল পানীয় শতভাগ পরিহার করুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার একেবারেই পরিহার করুন। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার, হরেক রকম বিন, আনারস, হোল গ্রেইন, গ্রিন টি ইত্যাদি পিরিয়ডের সময়ে আপনার জন্য ভালো।